Tuesday, May 14, 2019

Current Bangladesh affairs

Current Bangladesh affairs 

14/05/2019
শতাব্দীর সেরা চুক্তির নিউ প্যালেস্টাইনঃ
ইতমধ্যেই আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ফাঁস হওয়া 'গ্রেট ডিল অব সেঞ্চুরি' সম্পর্কে অবগত হয়েছি। রমজানের পরই ফিলিস্তিন - ইসরাইল সমস্যা নিরসন সম্পর্কিত এ চুক্তির বিষয়াদি প্রকাশ করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু ইসরায়েলি সংবাদ মাধ্যমে এটা প্রকাশ হয়েছে সময়ের আগেই, তবে এখানে ফাঁস শব্দটা যথোচিত কিনা তা চিন্তার বিষয় হতে পারে। নতুন এ প্রস্তাব/ চুক্তির বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা চলছে নানানভাবে। বিভিন্নভাবে চেষ্টা চলছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ চুক্তির বাস্তবায়নের পক্ষে। জানা যায় এজন্য ফিলিস্তিনির জন্য আর্থিক প্রণোদনা নিয়েও প্রস্তাব করা হচ্ছে কোন কোন রাষ্ট্র থেকে। কিন্তু কি আছে এ চুক্তিতে? এটা কি উভয় রাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষা করবে?
শতাব্দীর সেরা চুক্তি নাম দেয়া এ চুক্তির প্রতি আগে থেকেই ফিলিস্তিনিদের চরম অনিহা প্রকাশ পেয়েছে। বলা হচ্ছে এটা নাকি ইসরাইল ঘেঁষা। এখন প্রকাশ হওয়া এ চুক্তির বিষয়াদিতে ব্যাপারটা অনেকটাই পরিষ্কার হওয়া যাবে। সেখানে অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা থাকলেও কেবল বিশেষ কয়টি বিষয় তুলে ধরতে চাই, সাথে ফিলিস্তিন কেন তা মেনে নেবে না তার যৌক্তিকতা।
প্রথমত, চুক্তি অনুযায়ী ফিলিস্তিন বলতে কোন রাষ্ট্র থাকবে না। নতুন নাম হবে 'নিউ প্যালেস্টাইন'। পশ্চিম তীর এলাকা নিউ প্যালেস্টাইন ভুক্ত হলেও পশ্চিম তীরের ইসরাইলি দখলকৃত অবৈধ বসতিগুলো নিয়ে কোন কথা বলা হয়নি বরং বলা হয়েছে এগুলোতে ইসরাইলের সার্বভৌমত্ব থাকবে। কিন্তু ফিলিস্তিন কেন এটি মেনে নেবে? অথচ এতদিন যাবৎ জাতিসংঘ, সাবেক মার্কিন প্রশাসন (ওবামা) সহ অনেক রাষ্ট্রই দ্বিরাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানের কথা বলে আসছিল। যেখানে গুরুত্বপূর্ণ ছিল ফিলিস্তিনের সীমানা হবে ১৯৬৭ সালের আলোচনা অনুযায়ী। মানে, এর আগের সীমানাই ফিলিস্তিনের সীমানা, ৬৭ পরবর্তী সকল ইসরাইল দখলকৃত এলাকা অবৈধ। হামাস সহ ফিলিস্তিনের বর্তমান প্রশাসন ১৯৬৭ সালের সীমানতেই এখনও অটল।
দ্বিতীয়ত, চুক্তিমতে জেরুজালেম হবে উভয় রাষ্ট্রের রাজধানী। তবে নিয়ন্ত্রণ থাকবে ইসরাইলি পৌরসভার নিকট। ফিলিস্তিনের নিকট থাকবে সেখানকার শিক্ষা ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ। তাহলে ইহুদিদের পূণ্যভূমি তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও শেষ পর্যন্ত মুসলিমদের পবিত্র স্থানের উপর নিজেদের কর্তৃত্ব থাকবে কিনা সেটা মহা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
এছাড়াও চুক্তিনামায় রয়েছে ফিলিস্তিনিদের কোন সামরিক বাহিনী থাকবেনা, ইসরাইলের সাথে একটা সুরক্ষা চুক্তি থাকবে। এখানে প্রশ্ন হচ্ছে ইসরাইল কিভাবে তাদের এতদিনের শত্রুদের নিরাপত্তা দেয়ার মানসিকতা তৈরী করবে; ফিলিস্তিনিদের দেশ কিভাবে নিরাপদ হলো।
ফিলিস্তিনের অবকাঠামো নির্মাণ, উন্নয়নযজ্ঞে যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটা আরব রাষ্ট্র আর্থিক সহায়তার বিশাল প্রস্তুতি নিয়েছে। সর্বোপরি, বহুমুখী তৎপরতা চলছে শতাব্দীর সেরা চুক্তির বাস্তবায়নে। কিন্তু ফিলিস্তিন এসব সহায়তা ফিরিয়ে দিচ্ছে। সেরা চুক্তি ব্যর্থতায় পর্যবাসিত হওয়ার প্রবল আশংকা রয়েছে। তবে সে সম্পর্কেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার চুক্তিতে আলোকপাত করেছেন, কোন এক পর্যায়েও চুক্তি না মানলে ইসরাইলের যুদ্ধ ঘোষণায় তাদের পক্ষে যোগ দিবে যুক্তরাষ্ট্র।

No comments:

Post a Comment